নিম তেল নিম গাছের বীজ থেকে প্রাপ্ত একটি অলৌকিক তেল, যা বৈজ্ঞানিকভাবে Azadirachta indica নামে পরিচিত। বহু শতাব্দী ধরে, এই তেলটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসাবে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ও চুলের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্যগুলি এটিকে ব্রণ, খুশকি এবং একজিমার মতো রোগের জন্য কার্যকর প্রাকৃতিক সমাধান ।
নিমের তেল শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং চুলর ক্ষেত্রে ব্যাবহারিত হয় না , এটি পোকামাকড় প্রতিরোধক এবং রাসায়নিক কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এর বহুমুখী ব্যবহার এটিকে করেছে অনন্য ।
ত্বকের যত্নে নিম তেল:-
১। নিম তেলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে সহজে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না।নিম তেল ফ্যাটি এসিডে সমৃদ্ধ যার ফলে তেলটি সহজে ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং সংকোচন প্রসারণ সহজতর হয়।নিয়মিত নিম তেল ব্যবহার করলে ত্বকের বলিরেখা ও বার্ধক্যজনিত যাবতীয় দাগ দূর করা সম্ভব।
২। নিম তেলে অ্যাসপিরিন জাতীয় উপাদান রয়েছে, যা ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে।
৩। ত্বকের লাল ভাব ও ব্রণের ক্ষত থেকে ব্যথা হলে নিমের তেল তা সারিয়ে তোলে।
৪। নিম তেল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে অ্যাকজিমা প্রতিকার ও প্রতিরোধ করে। তবে, বংশগত কারণে কারও অ্যাকজিমা হলে নিমের তেল তা পুরোপুরি সারিয়ে তুলতে সক্ষম নাও হতে পারে।ত্বকের ছোট ছোট লালচে দাগ দূর করে।ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিন তৈরিতে বাধা দেয়।
৫। নিমে অ্যান্টিব্য়াকটেকিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ থাকার কারণে ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্র বন্ধ করতে এটি দারুণ কাজে আসে। নারিকেল তেলের সঙ্গে নিম তেল মিশিয়ে মুখে লাগান, তাহলেই দেখবেন সমস্যা কমতে শুরু করে দিয়েছে।
চুলের যত্নে ।
১। নিম তেল অ্যান্টি ফাংগাল ও ব্যাকটেরিয়াল ক্যানডিডা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে, উঁকুন, খুশকি, ফুসকুড়ি হওয়া,ইনফেকশেন থেকে রক্ষা করে। আপনার ব্যবহার করা শ্যাম্পুতে কয়েক ফোঁটা নিমের তেল মিশান। এবার চুলে শ্যাম্পু মেখে ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করুন। এভাবে আপনার উসকোখুসকো ও প্রাণহীন চুল তার উজ্জ্বল্য ফিরে পেতে পারে।
২। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্ত সঞ্চলন বাড়ায় ও চুলের পি এইচ ভারসাম্য, চুল পড়া ও ভাঙা প্রতিরোধ এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
৩। উচ্চ মাত্রায় ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে কান্ডিশনিং, নরম ও ফুরফুরে করে।
৪। এতে রয়েছে ভিটামিন ই ও বি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়া, ফসফরাস ও প্রোটিন যা নতুন চুল গজাতে, চুলের গোড়া শক্ত ও রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে।
অন্যান্যঃ-
১। স্কীন ক্যান্সার নিরাময়ে নিম তেলের ভূমিকা অতুলনীয়।
২। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি এবং DNA এর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৩। নিম তেল একটি উৎকৃষ্ট মানের অ্যান্টি-সেপটিক।
৪। ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ও উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার জন্য যেসব ঔষধ গ্রহণ করা হয় সেগুলোতে নিমের তেল থাকে।
৫। বাড়িতে পিঁপড়া, তেলাপোকা এবং অন্যান্য পোকামাকড়ের হাত থেকে রেহাই পেতে নিম তেল ব্যবহার করা যায়।বাড়িতে মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে পানির সাথে নিমের তেল মিশিয়ে স্প্রে করুন তাতে চমৎকার কাজে দিবে।
৬। রাসায়নিক কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।।
শতভাগ প্রাকৃতিক নিম তেল এর জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ।
