রাসূলুল্লাহ (সা.) মধুকে ‘খাইরুদ্দাওয়া’ বা মহৌষধ বলেছেন। আয়ুর্বেদ এবং ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুকে বলা হয় মহৌষধ। প্রাচীনকাল থেকেই পারিবারিকভাবে ‘পুষ্টিকর ও শক্তিবর্ধক’ পানীয় হিসেবে সব দেশের সব পর্যায়ের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে ব্যবহার করে আসছে।
ভিন্ন ভিন্ন মধু স্বাদ ও গন্ধে আলাদা। বিভিন্ন প্রকার মধুর মধ্যে লিচু ফুলের মধু অন্যতম। লিচু ফুলের মধু খুবই সুস্বাদু এবং সুঘ্রাণযুক্ত হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এই মধুর বিশেষ সমাদর রয়েছে৷ বিশেষ করে বাচ্চারা এই মধু খেতে খুবই পছন্দ করে৷
লিচু ফুলের মধুর বৈশিষ্ট্য:-
দেখতে সাধারণত Light Amber রঙের হয় (তবে সময়, স্থান ও ঘন-পাতলার উপর নির্ভর করে কিছুটা Light বা Dark হতে পারে)।
খেতে খুবই সুস্বাদু। মধু খাওয়ার সময় অনেক সময় মধুতে লিচু ফলের স্বাদ পাওয়া যায়।
ঘ্রাণ টাও লিচু ফলের সাথে মিলে যায় (তবে মধু পুরাতন হলে স্বাদ এবং ঘ্রাণ কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়)।
মধুর ঘনত্ব কম বা বেশি হতে পারে।
মধু পাতলা হলে ফেনা হতে দেখা যায়। আর ঘনত্ব বেশি হলে ফেনা হতে দেখা যায় না।
সাধারণত লিচু ফুলের খাটি মধু সামান্য জমতে দেখা যায়। যদি মধু পাতলা হয় তাহলে সেটা কয়েকমাস পরে সামান্য জমতে পারে। আর যদি মধু খুবই ঘন হয় তাহলে সেটা দ্রুত জমতে শুরু করে এবং সম্পূর্ণ মধুই জমে যেতে পারে বা বেশীরভাগ জমতে পারে।