মধু এবং আখরোটের মিশ্রণ সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার।
বিশেষ করে যারা ঘুমের সমস্যা,ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি, হাঢ়ক্ষয়, অতিরিক্ত স্ট্রেস এবং হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য অসাধারণ একটি খাবার। নিয়মিত মধুময় আখরোট গ্রহনে কিছুদিন এর মধ্যে আপনার ঔষুধ নির্ভরতা কমিয়ে দিবে বহু গুনে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে আখরোট কাঁচা গ্রহণ করার থেকে মধু্র সাথে গ্রহনের ফলে এটির কার্যকারিতা বহু গুনে বৃদ্ধি পায়।
আখরোটে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম এবং আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূন ভূমিকা রাখে। এটি আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে এবং ভালো কোলেস্টেরলের বাড়াতে সাহায্য করে।
আখরোট দেখতে কিন্তু অনেকটা আমাদের মস্তিষ্কের আকৃতির মতো।এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মধু ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ যা স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের কলা সুদৃঢ় করে স্ট্রেস উপশম করে ফলে এটি প্রাকৃতিক ঘুমের ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, পলিফেনলস এবং ইউরোলিথিন অ্যান্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ।মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ও কোষকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। তাই স্তন, কোলন এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার সহ সকল ধরনের ক্যান্সার রোধে বড় ভূমিকা রাখে মধুময় আখরোট।
অপরদিকে আখরোটকে প্রাকৃতিক ক্যালসিয়াম এর খনি হিসাবে মনে করা হয়। এতে আছে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড নামে একটি প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড যা হাড়কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও মধুময় আখরোটে আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যেমন ফোলেট, রাইবোফ্লাভিন এবং থিয়ামিন। এগুলো হবু মায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আখরোটে থাকা ফলিক এসিড গর্ভবতী ও অনাগত সন্তানের জন্য উপকারী। এছারাও গর্ভাবস্থায় যারা রক্ত স্বল্পতায় ভোগেন তাদের জন্য নিয়মিত মধু সেবন অত্যন্ত ফলদায়ক।
সর্বপরি মধুময় আখরোটে বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ যেমন মেলাটোনিন, ওমেগা ৩, তামা এবং ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫, বি-৬, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-এ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এতে থাকা মেলাটোনিন ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক।