Blogs Post

ত্বকের যত্নে মধুর ফেস প্যাক

দুধ-মধুর ফেসপ্যাক যা ত্বকের ময়েশ্চারাইজার থেকে শুরু করে পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখার জন্য দারুণ কার্যকর। দুধ ও মধুর এন্টিএজিং ফর্মুলা বয়সের ছাপ কমায়। কথিত আছে, মিসরের রানি ক্লিওপেট্রা নিজের ত্বককে তরুণ, উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত দুধ দিয়ে গোসল করতেন।

রইল দুধ ও মধুর তৈরি ফেসপ্যাকের কয়েকটি উপকারিতা।

✴️ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার

টক দুধে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড (AHA) হিসেবে পরিচিত। এটি চমৎকার প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। আর মধুতে থাকা ইমোলিয়েন্ট এবং হিউমেক্ট্যান্ট ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ভীষণ কার্যকরী। যা আপনার ত্বককে রাখবে নরম-কোমল।

এ কারণেই ত্বকের যত্নে প্রস্তুতকৃত পণ্যে দুধ ও মধুর ব্যবহার করা হয়।

✴️দুধ ত্বককে রাখে দৃঢ় এবং মসৃণ।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১২ শতাংশ ট্রপিক্যাল ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখা কমিয়ে দেয়। ফলে ত্বক দেখায় তরুণ। এটি ত্বককে দৃঢ় এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।

এ ছাড়াও দুধে হালকা এক্সফোলিয়েটিংয়ের প্রভাব বিদ্যমান। যা মুখে প্রয়োগে একই ফল দেয়।

✴️মধু ত্বকের পিএইচ বজায় রাখে

ত্বকের ব্রেকআউট এবং ফুসকুড়ি প্রতিরোধের পাশাপাশি ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্যহীনতা ত্বকের প্রাকৃতিক গ্রোথে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে পারে।

মধু ত্বকের পিএইচ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

✴️ব্রণের চিকিৎসা

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ব্রণের ক্ষতগুলোতে মধু প্রয়োগ করলে দ্রুত নিরাময় হতে পারে। মধু ত্বকের পোড়, জেদি ব্রণের দাগ এবং অরিয়াস ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে।

????দুধ ও মধুর কয়েকটি ফেসপ্যাক

????কাঁচা দুধ, লেবুর রস এবং মধুর প্যাক। এই প্যাকটি অন্তত ১৫ মিনিট মুখে ও ঘাড়ে লাগাতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ও ঘাড় ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে এক দিন ব্যবহারই যথেষ্ট।

????মধু, হলুদ বাটা এবং দুধ নিয়ে ভালো করে মেশান। মিশ্রণটি ২০ মিনিট রেখে, ঘষে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহারে ত্বক নরম হবে, সঙ্গে মধু ও হলুদের গুণে ত্বক উজ্জ্বল হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *