খাঁটি মধু কিংবা ভেজাল মধু চেনার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে ল্যাব টেস্ট। এর বাইরে আরেকটি উপায় অনুসরন করা যেতে পারে। তাহলো মধু নিয়ে গবেষণা করেন এবং মধু বিষয়ে সঠিক জ্ঞান রাখেন ও সত্য কথা বলেন, এমন কোনো বাক্তি যদি বলেন মধু খাঁটি বা ভেজাল। তাহলে তার কথায় আস্থা রাখা যায়। এর বাইরে সাধারণ মধু ক্রেতাদের আর কোনো উপায় নাই খাঁটি বা ভেজাল মধু চেনার।
![](https://www.esouda.com/wp-content/uploads/2024/04/1_20240422_232437_0000-1.png)
খাঁটি বা ভেজাল মধু চিহ্নিত করার কিছু নিয়ম
☹ মধু পরীক্ষার প্রচলিত কিছু ভুলঃ
* আগুন পরীক্ষা❌
* পানি পরীক্ষা❌
* পিঁপড়া পরীক্ষা❌
* ফ্রিজিং পরীক্ষা❌
* চুন পরীক্ষা ❌
► খাঁটি মধুর কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যেগুলো জানা থাকা জরুরিঃ
✓ মধুর উপরের স্তরে হালকা ফেনা হওয়া,গ্যাস হওয়া।
✓ তলানীতে চিনিরমত পদার্থ জমা (যা মুলত সুক্রোজ ও গ্লুকোজ)
✓ মধু পাতলাও হতে পারে, যেমন বরই ফুলের মধুতে ময়েশ্চারাইজারের পরিমাণ বেশি থাকে এজন্য পাতলা হয় এবং প্রচুর গ্যাস হয়।
? খাঁটি মধু চেনার উপায় নিয়ে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিগুলো সঠিক নয় কেন❓
► অনেকের ধারণা খাঁটি মধু কখনোই জমাট বাধে না। কিন্তু তা সঠিক নয়। মধুর প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে আছে সুক্রোজ এবং গ্লুকোজ। গ্লুকোজ সুযোগ পেলে জমাট বাধবেই। একে বলে ক্রিসটালাইজেশন। বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ফুলের মধু জমাট বাধতে দেরী হতে পারে। তাছাড়া কাচা মধুতে মোম থাকে, মোম ছাড়া মধু অসম্ভব। মোম ঠান্ডায় জমাট বাঁধে শীতকালে এবং রোদে দিলে তা আবার পূর্বের অবস্থা লাভ করে।
মধুুতে ? ১০-১৫% মোম থাকে আর ? ৭০-৮০% সুগার থাকে।
যেমন– আসল সুন্দরবনের মধুতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটা জমাট বাঁধে না। কিন্তু যে মধুতে পানির পরিমান কম থাকে, তা সময়ের সাথে সাথে ক্রিস্টালাইজড হতে শুরু করে। বিভিন্ন ফুলের মধুর গ্রেড কম বেশির কারণে বা ময়েশ্চারের কম বেশির কারণে জমাট বাধতে সময় নেয়।
![](https://www.esouda.com/wp-content/uploads/2024/04/2_20240422_232437_0001.png)
► আবার, মধুর ঘনত্ব-ভিত্তিক টেস্টের বিষয়টি ভিত্তিহীন। কারণ, মধু পাতলাও হতে পারে। যেমন – বরই ফুলের মধুতে ময়েশ্চারের পরিমাণ বেশি থাকে, এজন্য তা পাতলা হয় এবং প্রচুর গ্যাস হয়। সিজনাল কারণে ময়েসচারের তারতম্য থাকলে মধুর ঘনত্ব পরিবর্তন খুবই স্বাভাবিক। একারণে পানিতে ঢেলে পরীক্ষা, আঙ্গুলের নখে নিয়ে পরীক্ষা, টিস্যু বা নিউজপ্রিন্ট কাগজে নিয়ে পরীক্ষা করার ফলাফল মোটেও সঠিক ফলাফল দিতে সক্ষম নয়।
► মধুতে আগুন ধরলে আসল মধু, ধারণাটি সম্পূর্ণ অমূলক। মধুর সাথে মোম মিশিয়ে যদি তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় তবে মধুতে খুব সহজেই আগুন জ্বলবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই মোমটা যদি মধুতে না মিশিয়ে চিনির শিরাতে মিশিয়ে দেই, তাহলেও একই ফল পাবেন। বিশ্বাস না হলে নিজেই পরীক্ষা করে দেখুন।
► প্রাকৃতিকগত ভাবেই কিছু কিছু মধু পাতলা হয় সেই মধু যদি এই সকল পরীক্ষা করা হয় পানির গ্লাসে পরীক্ষা করলে কখন সঠিক রেজাল্ট পাওয়া যাবেনা। চাষের মধু অনেক সময় পাতলা হওয়ার কারণ হল, মৌচাক হতে যখন মধু সংগ্রহ করা হয় সেখানে একটা নিদিষ্ট সময় লাগে মৌমাছিদের পুষ্প রস থেকে মধু তৈরি করতে সময়ের কম বেশি হওয়ার কারণে অনেক সময় মধু কম ঘনত্ব বা পাতলা হয়।
যেমনঃ সুন্দরবনের ফুলের মধু, বরই ফুলের মধু প্রাকৃতিকগত ভাবেই পাতলা হয়।আবার স্বাদের দিক থেকে একেক ফুলের মধু একেক রকম মিষ্টি হয়,কোনোটা কম আবার কোনোটা মিষ্টি।মধু যেহেতু প্রাকৃতিক উপাদান এর স্বাদের ওপর মানুষের হাত নেই
? আশা করি খাঁটি মধু চেনার উপায় সম্পর্কে আপনাদের ভালো
একটা ধারণা দিতে পেরেছি।
বিঃদ্রঃ আমরা আমাদের নিজস্ব মৌয়াল কর্তৃক সংগৃহিত ১০০% খাঁটি মধু সংগ্রহ করে থাকি। ভেজাল প্রমাণে ১০০% ক্যাশব্যাকের নিশ্চয়তায় মধু বিক্রি করে থাকি।
তথ্যসুত্র:
১. https://bit.ly/33NuHR6
২. https://bit.ly/3jPIBbb
৩. https://bit.ly/3iRz4Px
#ইসওদা #esouda #easy_shoping_happy_life